হাওজা নিউজ এজেন্সি: বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গাজার মানুষ দুর্ভিক্ষ, যুদ্ধ ও অবরোধে নিপতিত। এখনই কার্যকর আন্তর্জাতিক ও ইসলামি বিশ্ব উদ্যোগ না নিলে এই গণহত্যা থামানো সম্ভব নয়।”
বিবৃতির মূল বক্তব্য: “গাজায় শিশু, নারী ও বৃদ্ধরা দুর্ভিক্ষে মৃত্যুর মুখে পতিত। দুঃখজনকভাবে বিশ্ব বিবেক এ দৃশ্য দেখে চুপচাপ রয়েছে।”
আয়াতুল্লাহ সিস্তানির দফতর থেকে প্রকাশিত বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয় যে, “প্রায় দুই বছর ধরে চলমান অবরোধ ও সহিংসতায় লক্ষাধিক মানুষ শহীদ ও আহত হয়েছেন। অবকাঠামো ধ্বংসপ্রাপ্ত, হাসপাতাল কার্যত অচল এবং খাদ্য সরবরাহ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। একে নিছক যুদ্ধ নয়, বরং এটি একটি নির্যাতিত জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে পরিকল্পিত গণহত্যা।”
বিশ্ব মুসলিমের প্রতি নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “যদিও দখলদার বাহিনীর এই বর্বরতা নতুন নয়, তথাপি বিশ্ব, বিশেষ করে আরব ও ইসলামি দেশগুলোর উচিত—এই অবর্ণনীয় মানবিক বিপর্যয় বন্ধে সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করা।”
তিনি আহ্বান জানান, যেন অবিলম্বে গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করে খাদ্য ও ওষুধ পৌঁছাতে পথ উন্মুক্ত করা হয়।
বিবৃতিতে উল্লেখিত একটি হৃদয়বিদারক দৃষ্টান্ত:
“গাজার যে দুর্ভিক্ষের ছবি বিশ্বমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে, তা দেখলে প্রতিটি সজীব বিবেক কেঁপে ওঠে। এমনকি এ দৃশ্য দেখার পর খাবার গ্রহণ করাও বিবেকবান মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।”
এ প্রসঙ্গে তিনি স্মরণ করিয়ে দেন: আমিরুল মু’মিনিন আলী (আ.) বলেছেন, “কোনো মুসলিম নারীর ওপর নির্যাতন হলে যদি (মুসলমানদের অন্য) কেউ (তা দেখে সহ্য করতে না পেরে) দুঃখে মৃত্যুবরণ করে, তবে সেটি নিন্দনীয় নয় বরং প্রশংসনীয়।”
বিবৃতির শেষাংশে তিনি বলেন, “এখন সময় এসেছে মানবতা ও ঈমানের পরীক্ষা দেওয়ার। সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে গাজার নিরস্ত্র, নির্যাতিত জনগণের পাশে দাঁড়াতে হবে।”
এই বিবৃতি শুধু একটি রাজনৈতিক বার্তা নয়, বরং এটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর বিবেক জাগ্রত করার এক তাৎপর্যপূর্ণ ডাক। বর্তমান সময়ে যখন বহু ইসলামি সরকার রাজনৈতিক স্বার্থে নীরব, তখন আয়াতুল্লাহ সিস্তানির এই ঘোষণা ইসলামি আলেম ও নেতৃত্বের সত্যিকারের দায়িত্বশীলতার পরিচয় বহন করে।
আপনার কমেন্ট